পুজোর উৎসব মানেই বাড়িতে অতিথি আসা, আয়োজন, আর মিষ্টি ছাড়া তো উৎসব সম্পূর্ণ হয় না। পায়েস, সন্দেশ, রসমালাইয়ের পাশাপাশি ভাপা দইও পুজোর মিষ্টিমুখে বিশেষ জায়গা করে নেয়। সহজ উপকরণে, কম সময়ে তৈরি করা যায় বলে এটি অনেকের পছন্দের মিষ্টি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাপা দইয়ের সহজ রেসিপি।
![]() |
পুজোর মিষ্টিমুখে থাকুক ভাপা দই! রইল রেসিপি |
পুজোর উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া আর তার সাথে থাকে নানারকম মিষ্টির আয়োজন। পায়েস, রসগোল্লা, সন্দেশের পাশাপাশি ভাপা দইও পুজোর মিষ্টিমুখে আলাদা মাত্রা যোগ করে। এটি বানানো যেমন সহজ, খেতেও তেমন সুস্বাদু। দই, কনডেন্সড মিল্ক ও সামান্য দুধ একসাথে ফেটিয়ে নিতে হয়। চাইলে একটু চিনি মিশিয়ে মিষ্টির পরিমাণ বাড়ানো যায়। স্বাদে ভিন্নতা আনতে এলাচ গুঁড়ো দেওয়া হয়। এরপর মিশ্রণটি স্টিল বা মাটির পাত্রে ঢেলে ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ভাপে রাখতে হয় প্রায় আধা ঘণ্টা। হয়ে গেলে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে কয়েক ঘণ্টা। পরিবেশনের আগে ওপরে বাদাম, পেস্তা আর কিশমিশ ছড়িয়ে দিলেই প্রস্তুত পুজোর ভাপা দই। ঠান্ডা ভাপা দই অতিথি আপ্যায়নে কিংবা পুজোর ভোজে পরিবেশন করলে মিষ্টিমুখ আরও মধুর হয়ে উঠবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
-
দই – ১ কাপ
-
কনডেন্সড মিল্ক – ১ কাপ
-
দুধ – আধা কাপ
-
চিনি – পরিমাণমতো (যদি বেশি মিষ্টি চান)
-
এলাচ গুঁড়ো – সামান্য
-
কিশমিশ, বাদাম, পেস্তা – সাজানোর জন্য
🥣 প্রস্তুত প্রণালী
-
একটি বড় বাটিতে দই, কনডেন্সড মিল্ক ও দুধ একসাথে ফেটিয়ে নিন।
-
মিশ্রণটি যেন একেবারে মসৃণ হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখুন।
-
স্বাদ বাড়াতে সামান্য এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
-
মিশ্রণটি স্টিলের বা মাটির পাত্রে ঢেলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বা ঢাকনা দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিন।
-
হাঁড়িতে পানি গরম করে বা স্টিমারে রেখে প্রায় ২৫–৩০ মিনিট ভাপে রান্না করুন।
-
হয়ে গেলে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন অন্তত ২–৩ ঘণ্টা।
-
পরিবেশনের আগে ওপরে কাটা বাদাম, পেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।
পরিবেশন
ঠান্ডা ভাপা দই পরিবেশন করুন পুজোর ভোজে বা অতিথি আপ্যায়নে। মোলায়েম টেক্সচার আর হালকা মিষ্টির স্বাদে ভাপা দই পুজোর মিষ্টিমুখকে করবে আরও বিশেষ।