দই–ভাত আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। গরমের দিনে হোক বা শরীর খারাপের সময়—এই সহজ ও পুষ্টিকর খাবার অনেকেরই প্রিয়। পুষ্টিবিদদের মতে, দই–ভাত শুধু পেট ভরার খাবার নয়, বরং এটি শরীরের স্বাস্থ্য জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সম্পূর্ণ খাবার। দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। অন্যদিকে, ভাত শরীরকে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট ও শক্তি সরবরাহ করে। ফলে নিয়মিত দই–ভাত খেলে পেটের সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্লতা বা বদহজম অনেকাংশে কমে যায় এবং পেট থাকে ঠান্ডা ও স্বস্তিদায়ক।
![]() |
| প্রতিদিন দই-ভাত খেলে কী ঘটে শরীরে |
১. হজমশক্তি উন্নত হয়:
ভেজানো কিসমিসে ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এটি পেটের গ্যাস, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত খেলে পেট পরিষ্কার থাকে ও হজমতন্ত্র সক্রিয় হয়।
২. লিভার ও কিডনি পরিষ্কার রাখে:
কিসমিসের প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বা ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়। এর ফলে লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং শরীর থাকে সতেজ ও হালকা অনুভূতিতে।
৩. রক্তশূন্যতা দূর করে:
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। এটি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
৪. ত্বক উজ্জ্বল ও তরতাজা রাখে:
ভেজানো কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি দেয়, দাগ-ছোপ কমায় ও ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
৫. চুলের গোড়া মজবুত করে:
কিসমিসে থাকা আয়রন ও বায়োটিন চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে চুল পড়া কমে যায়।
৬. হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়:
ভেজানো কিসমিস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
৭. হাড়ের গঠন মজবুত করে:
কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ক্ষয়জনিত রোগ প্রতিরোধ করে।
৮. শক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়:
ভেজানো কিসমিস প্রাকৃতিক গ্লুকোজের উৎস। এটি শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায় এবং মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, ফলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
