কেন খাবেন ইসবগুলের ভুসি
ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের পরামর্শ বরাবরই দেওয়া হয়। চিকিৎসকরাও রোজায় ইসবগুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। রোজায় এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এর সমাধানের জন্য ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। ইসবগুলের ভুসি পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে ফুলে যায়, ফলে তা পেটের বর্জ্য বের করতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিক দূরে রাখে
আমাদের দেশে গ্যাস্ট্রিক একটি পরিচিত সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। রমজানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে নানা রকম খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুলের ভুসি পাকস্থলীর দেওয়ালকে রক্ষা করে এবং অ্যাসিডের জন্য ক্ষয়ে যেতে দেয় না।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে
ইসবগুল আপনার ডায়রিয়া উপশমে সাহায্য করে। অনেক সময় ইফতারের পর পেটে গণ্ডগোল দেখা দেয়। তখন পানিতে কিছুটা ইসবগুল ভিজিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হার্ট ভালো রাখে
হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে। ইসবগুলে থাকে ফাইবার যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। এটি খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণেও বাধা দেয়, ফলে হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।
হজমে সাহায্য করে
ইসবগুল মূলত ফাইবার জাতীয় খাবার হওয়ায় হজমে সাহায্য করে। রোজায় নানাবিধ খাবার খাওয়ার ফলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। ইসবগুল এই হজমের সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।