ভূমিকা:
কোঁকড়া চুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই এর যত্ন নেওয়াটা একটু কষ্টসাধ্য। চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং ফ্রিজিনেস কমানোই কোঁকড়া চুলের যত্নের মূল রহস্য। বাজারের কেমিক্যালযুক্ত পণ্য না ব্যবহার করে ঘরোয়া কিছু উপাদানেই সহজে চুলকে রাখা যায় নরম, উজ্জ্বল ও সুস্থ।
![]() |
ঘরোয়া উপাদানে কোঁকড়া চুলের যত্ন |
১. নারকেল তেল ও মধু প্যাক 

নারকেল তেল ও মধু প্যাক
উপকারিতা:
নারকেল তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং মধু চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।
ব্যবহারবিধি:
দুই টেবিলচামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. দই ও ডিমের হেয়ার মাস্ক 

দই ও ডিমের হেয়ার মাস্ক
উপকারিতা:
দই চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে, আর ডিমে থাকা প্রোটিন চুল মজবুত করে।
ব্যবহারবিধি:
একটি ডিম ও দুই চামচ দই মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০–২৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. অ্যালোভেরা জেল
উপকারিতা:
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রিজ কমায়।
ব্যবহারবিধি:
তাজা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৪. অলিভ অয়েল ম্যাসাজ
উপকারিতা:
অলিভ অয়েল চুলের গভীরে পুষ্টি জোগায়, শুষ্কতা কমায় এবং কোঁকড়া চুলকে মসৃণ রাখে।
ব্যবহারবিধি:
গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন এবং ১ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন।
৫. মেথি ও দুধের প্যাক
উপকারিতা:
মেথি চুলের রুক্ষতা কমায় এবং চুল পড়া রোধ করে।
ব্যবহারবিধি:
ভেজানো মেথি বাটা ও সামান্য দুধ মিশিয়ে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
চুলের যত্নে অতিরিক্ত টিপস:
-
চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে জোরে ঘষবেন না, বরং হালকা চেপে পানি ঝরান।
-
সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
-
চুল নিয়মিত ট্রিম করলে ডগা ফাটা কমবে।
-
ঘুমানোর সময় সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন, এতে চুলের ভাঙ্গন কমে।