Bogra Sonatola | ritu it|

 সোনাতলা উপজেলা






ভাষাতাত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বগুড়া জেলার বরেন্দ্র উপভাষা অঞ্চলে হলেও, সোনাতলা উপভাষা দুটি প্রধানভাবে পরিচিত। এটি বরেন্দ্রী ভাষা থেকে অনেকটিতে আলাদা। সোনাতলা সদর, উত্তর এবং পশ্চিম সোনাতলার উপভাষা সামান্য বৈচিত্র্য দেখা যায়, এবং এটি সোনাতলা দক্ষিণাঞ্চলে প্রচলিত উপভাষায় ধ্বনি, তাত্তিক এবং রূপতাত্তিক পার্থক্য প্রকাশ করে। যমুনা চরাঞ্চলে বাসস্থান করা জনগণের ভাষার উচ্চারণের পার্থক্য থাকলেও, তা প্রায়ই বাংলা শুদ্ধ ভাষার সাথে মিলে থাকে। সোনাতলা উপভাষা হিসেবে বর্ণিত আঞ্চলিক ভাষাটি বরেন্দ্রী এবং কামরূপী সংমিশ্রিত রূপের সীমা প্রাপ্ত হয়। এই ভাষা সাথে বগুড়া জেলার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, চাপাইনাবাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং নওগাঁর ভাষায় কিছু মিল থাকলেও অমিলও দেখা যায়। এই পার্থক্যগুলি মাধ্যমে সোনাতলা ভাষার একটি বৈশিষ্ট্যমূলক মৌলিকতা প্রকাশ পায। ritu it


ভৌগলিক পরিচিতি


সোনাতলা উপজেলা বগুড়া জেলা শহর হতে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উপজেলার পূর্ব দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিণে গাবতলি উপজেলা, পশ্চিমে শিবগঞ্জ উপজেলা এবং উত্তরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা  (গাইবান্ধা জেলা ) অবস্থিত।

 

জেলা সদর থেকে পশ্চিমে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এবং ভৌগলিক ২৪.৪৩ ও ২৪.৫২ অক্ষাংশ এবং ৮৮.৫৮ ও ৮৯.১০ দ্রাঘিমার মধ্যবর্তী স্থানে সোনাতলা উপজেলার অবস্থান।



সোনাতলা উপজেলার ইউনিয়নের নাম


প্রশাসনিক এলাকা

সোনাতলা ইউনিয়ন

বালুয়া ইউনিয়ন

দিগদাইড় ইউনিয়ন

জোড়গাছা ইউনিয়ন

মধুপুর ইউনিয়ন

তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন

পাকুল্যা ইউনিয়ন


সোনাতলা উপজেলার মানচিত্র





সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার

রাবেয়া আসফার সায়মা

উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (December-2023)  


মোবাইল নং : ০১৭৩৩-৩৩৫৪৩৩

ফোন (অফিস) : ০২৫৮৯৯১০৭০১

ই-মেইল : unosonatala@mopa.gov.bd

ব্যাচ (বিসিএস) : ৩৫

বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩


সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান


চেয়ারম্যান

মোঃ আলী তৈয়ব শামীম


সোনাতলা উপজেলার ইতিহাস

এই স্থানটি সোনাতলা নামে পরিচিত হয়েছে কারণ এখানে ঘন ঘন পাট বা সোনালী আঁশের তলিয়ে যাওয়ার কারণে। এই অঞ্চলে জনপ্রিয় বণিক নৌকাযোগে, অনেকে অমূল্য সোনা, রূপা, এবং ধন-রতন নিয়ে বাঙ্গালী নদীগুলি দিয়ে প্রচুর সময় কাটায়। এই দৈব-দূর্বিপাক এখানে অনেক নৌকা ডুবে যায়, সহিত ধন-রতন এবং সোনা-রূপা অবশ্যই ব্যক্তিগত নৌকার তলিয়ে যাওয়ার কারণে এই এলাকার লোকজনের মধ্যে এটির একটি পরিচিত নাম হয়েছে।


সোনাতলা পূর্ব নাম কি

বর্তমানে সোনাতলা নামক এই স্থানটি পূর্বে 'বালুআটা' নামে পরিচিত ছিল। 'বালুআটা' অবস্থানটি তখন একটি ঝোপঝাড় এবং বড় জাঙ্গলের ভরপূর ছিল। বর্তমানে এই অঞ্চলটি উপজেলা পরিষদ থেকে দুই আড়ই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আছে, এবং এটি বিশ্বনাথপুর গ্রাম সহ বাঙালি নদীর তীরে অবস্থিত হয়েছে, যা 'সোনাতলা' নামের পরিচিত। ritu it

সোনাতলা দর্শনীয় স্থান

স্থান

সোনাতলা,বগুড়া

 কিভাবে যাওয়া যায়

বগুড়া জেলা থেকে সরাসরি চেলোপাড়া সিএনজি ষ্ট্যান্ড এসে চরপাড়ার সিএনজি'তে উঠতে হবে (ভাড়া-৫০ টাকা)।

যোগাযোগ

বগুড়া জেলা থেকে সরাসরি চেলোপাড়া সিএনজি ষ্ট্যান্ড এসে চরপাড়ার সিএনজি'তে উঠতে হবে (ভাড়া-৫০ টাকা)

সোনাকানিয়া গুড়াভাঙ্গা নদীর পাড় (তেমাথা)

বাঙ্গালী ,যমুনা নদী

সোনাতলা থানা

সোনাতলা থানা - অফিসার ইনচার্জ- জনাব মোঃ সৈকত হাসান

সোনাতলা থানার ভূমির বর্ণনাঃ সোনাতলা থানাধীন গড়ফতেপুর মৌজার জে, এল, নং-২৬, খতিয়ান নং-৫০৩, ডিপি নং-৫, হাল দাগ নং-৬৪৩/৬৬৬ জমির পরিমান ৩.১৪ একর, থানার চারদিকে সীমানা প্রাচীর দ্বারা ঘেরা আছে। থানা ভবন টাইপ পস্নান বিল্ডিং যা ১৯৯৫ সালে নির্মিত হয়েছে। উলেস্নখিত জমির মালিক বাংলাদেশ সরকারের পÿÿ বাংলাদেশ পুলিশ, বগুড়া।


নদীঃ

বাঙ্গালী নদীঃবগুড়া জেলা দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে বাঙ্গালী সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং করতোয়া ও আত্রাই নদীর পূর্ব পার্শ্বে এর অবস্থান। এটি নীলফামারী জেলার কতিপয় ক্ষুদ্র প্রকৃতির খাল/জলাশয় থেকে বের হয়ে সৈয়দপুর থানার নিম্নভূমি অতিক্রম করে সাধারণ নদীখাতরূপে রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর থানার কাটাখালী স্রোতধারাটি বাঙ্গালী নামে দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানা থেকে দুটি জল স্রোতধারা বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাস্থ বিসুর পাড়া ও বিশ্বনাথপুর মৌজাদ্বয় দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে যথাক্রমে কামারপাড়া, রংবার পাড়া, নামাজখালি, শিকারপাড়া পর্যন্ত এসে ২ ভাগে বিভক্ত হয় |

সোনাতলা উপজেলার পটভূমিঃ

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এটি বগুড়া জেলার একটি প্রমুখ উপজেলা হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলাটির প্রশাসনিক কেন্দ্র হলো সোনাতলা শহর।

সোনাতলা উপজেলা সুন্দরবন নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান। এখানে বন্যা, নদী, ও অপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের মিশে একটি সোঁদর্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। এই উপজেলার অধিবাসীরা তাদের জীবনের প্রাথমিকতায় কৃষি এবং মাছের পরিচালনায় জীবিত থাকেন।

সোনাতলা একটি ঐতিহাসিক স্থানও হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান, মন্দির, ও প্রাচীন দারিদ্র্যকে প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। প্রাচীনকালের ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি এখানে আপনার প্রদর্শনীতে আসতে পারেন।

এই অঞ্চলের মৌসুমী বরণপ্রতি বছর ভিন্নধরণের উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব উৎসবে অংশ নেয়া হয় অধিকাংশ অধিবাসীরা একত্রে উদ্যোগী হন এবং তাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সাধনা কে উজ্জ্বল করে তুলে ধরেন।

সোনাতলা উপজেলার প্রাথমিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম হলো কৃষি এবং মাছের চাষাবাদ। এখানে জনসংখ্যা মুলত গ্রামীণ, এবং এই অঞ্চলে অসংখ্য কৃষকরা তাদের জীবনযাত্রা চালান।


পরিশেষে

সোনাতলা একটি সুন্দর এবং ঐতিহাসিক উপজেলা, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে মিলিয়ে আছে। এখানে আসতে এবং এই অদ্ভুত স্থানে অনুভূতি পাওয়া হলে আপনি নিশ্চিতভাবে এটি অসম্ভাব্য অভিজ্ঞতা করতে সক্ষম হবেন।


1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন