পাতিলেবুর রস ভাতে মেখে খাওয়া শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। নিয়মিত বা মাঝেমধ্যে পাতিলেবুর রস ভাতের সাথে খেলে শরীরে কিছু বিস্ময়কর উপকার দেখা দিতে পারে। যেমন:
![]() |
পাতিলেবুর রস |
১. হজমশক্তি বাড়ায়
পাতিলেবুর রস ভাতে মিশিয়ে খেলে হজম সহজ হয়। ভাতের ভারীভাব কমে এবং গ্যাস, অম্বল, বমি ভাবের সমস্যা কমতে সাহায্য করে।
২. শরীর ঠান্ডা রাখে
গরমে বা জ্বরের সময় পাতিলেবু মাখা ভাত শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং দ্রুত শক্তি জোগায়।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পাতিলেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, সর্দি-কাশি বা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
৪. ডিটক্সিফিকেশন করে
লেবুর রস শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শরীর ফ্রেশ থাকে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
লেবু মাখা ভাত হালকা এবং হজমে সহজ হওয়ায় অতিরিক্ত ক্যালোরি জমতে দেয় না, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬. ক্লান্তি দূর করে
লেবুর টক স্বাদ শরীরে সতেজতা আনে, ক্লান্তি ও অবসাদ কমাতে সহায়ক। এখানে সহজ ও মজাদার পাতিলেবুর ভাতের রেসিপি দেওয়া হলো:
উপকরণ
- সাদা ভাত – ১ কাপ (গরম বা ঠান্ডা যেকোনো)
- পাতিলেবুর রস – ১ থেকে ২ টেবিল চামচ (স্বাদমতো)
- লবণ – পরিমাণমতো
- কাঁচা মরিচ কুঁচি – ১ বা ২টি (ঐচ্ছিক)
- ধনেপাতা কুঁচি – ১ টেবিল চামচ
- সরিষার তেল বা ঘি – ১ চা চামচ (স্বাদ বাড়ানোর জন্য)
প্রস্তুত প্রণালী
-
গরম বা ঠান্ডা ভাত ভালোভাবে ফ্লাফ করে নিন যেন দলা না থাকে।
-
পাতিলেবুর রস, লবণ, মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা ও সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে নিন।
-
ভাতের সাথে ভালোভাবে মেখে নিন যেন সব উপকরণ সমানভাবে মিশে যায়।
-
চাইলে ওপরে এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়ো ছিটিয়ে দিতে পারেন, স্বাদ আরও বাড়বে।
পরামর্শ
-
গরমে দুপুরে হালকা খাবার হিসেবে এটি অসাধারণ।
-
ডায়াবেটিক বা ডায়েট কন্ট্রোল করা ব্যক্তিরাও পরিমাণমতো খেতে পারেন।
-
চাইলে ভাজা শুকনো মরিচ বা ভাজা শুঁটকি দিয়ে মেখে ভিন্ন স্বাদও পেতে পারেন।