কলা এমন একটি ফল, যা সারাবছর সহজলভ্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের সুস্থতা শক্তি যোগায়, হজমশক্তি বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে এর সঠিক সময়ে খাওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
![]() |
শক্তি, হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে কলা খাওয়ার সঠিক সময় |
ওজন নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা
সকালে
দিনের শুরুতে কলা খেলে দ্রুত শক্তি মেলে। খালি পেটে না খেয়ে হালকা নাশতার সঙ্গে খেলে হজম ভালো হয় এবং সারাদিন কর্মশক্তি বজায় থাকে।
ব্যায়ামের আগে বা পরে
ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে কলা খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। আবার ব্যায়ামের পরে খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় ও মাংসপেশি পুনর্গঠনে সহায়ক হয়।
দুপুরে
ভারী খাবারের পরিবর্তে দুপুরে কলা খাওয়া হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হতে বাধা দেয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রাতে
রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাওয়া ভালো নয়। এতে শরীরে গ্যাস বা হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তারা হালকা খাবারের পরে কলা খেলে উপকার পেতে পারেন।
জমশক্তি ভালো রাখার উপায়
হজমশক্তি দুর্বল হলে গ্যাস, অম্বল, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে কিছু অভ্যাস ও খাবারের মাধ্যমে সহজেই হজমশক্তি ভালো রাখা সম্ভব।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান – শাকসবজি, ফল, ডাল ও পূর্ণ শস্য হজমশক্তি উন্নত করে।
অতিরিক্ত তেল-ঝাল এড়িয়ে চলুন – এগুলো হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন – পানি খাবার হজম ও বর্জ্য বের করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত খাবার খাওয়া
সময়মতো খাবার খান, অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না।ছোট ছোট ভাগে দিনে ৪-৫ বার খাবার খাওয়া হজমে সহায়ক।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
ব্যায়াম করুন – প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম হজমশক্তি বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমান – মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।পর্যাপ্ত ঘুমান – কম ঘুম হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
খারাপ অভ্যাস এড়িয়ে চলা
ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।খুব দ্রুত খাওয়া এড়িয়ে চলুন, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খান।
উপসংহার
সঠিক সময়ে কলা খেলে এটি শরীরকে শক্তি জোগায়, হজমশক্তি বাড়ায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই সকালে, ব্যায়ামের আগে-পরে বা দুপুরে কলা খাওয়াই সবচেয়ে উপকারী।