শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক কম থাকে। তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই পাঁচটি এমন খাবার সম্পর্কে যা আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করবে।
![]() |
শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ৫ খাবার |
দই: দই একটি প্রোবায়োটিক খাদ্য, যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দই বাদাম: বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। শিশুর খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন।
বাদাম কমলা: কমলায় ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা শরীরের সাদা রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
কমলা বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বাঁধাকপি
![]() |
মাছ |
এখানে বয়স অনুযায়ী শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর খাবারের পরিকল্পনা দেওয়া হলো:
👶 ১–৩ বছর বয়সী শিশু
সময় | খাবার প্রস্তাবনা |
---|---|
সকাল | আধা সেদ্ধ ডিম + এক গ্লাস গরম দুধ |
দুপুর | ভাত + মাংস/মাছ + পালং বা লাল শাক |
বিকেল | ফলের স্মুদি (পেয়ারা বা কমলা দিয়ে) |
রাত | হালকা খিচুড়ি বা স্যুপ + অল্প পরিমাণ সবজি |
🧒 ৪–৬ বছর বয়সী শিশু
সময় | খাবার প্রস্তাবনা |
---|---|
সকাল | ডিমের অমলেট + দুধ |
দুপুর | ভাত + ডাল + মাছ বা মুরগি + গাজর/ব্রোকলি |
বিকেল | এক মুঠো বাদাম বা দই |
রাত | হালকা ভাত বা খিচুড়ি + সবজি |
৭–১০ বছর বয়সী শিশু
সময় | খাবার প্রস্তাবনা |
---|---|
সকাল | ডিম স্যান্ডউইচ + দুধ |
দুপুর | ভাত + মাংস/মাছ + মিক্সড ভেজিটেবল |
বিকেল | ফলের সালাদ + কুমড়ার বীজ |
রাত | স্যুপ বা খিচুড়ি + শাক |
টিপস:
-
প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল দিন।
-
চিপস, সফট ড্রিঙ্কস বা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।
-
পর্যাপ্ত পানি পান করানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এই পুষ্টিকর খাবারগুলো আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি করুন।