অবস্থান ও পরিচিতি:
মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর (Mahasthan Archaeological Museum), শিবগঞ্জ উপজেলায়, বগুড়ায় অবস্থিত। জাদুঘরটি মহাস্থানগড়ের ধ্বংসাবশেষগুলোর একেবারে কাছাকাছি, করতোয়া নদীর পার্শ্বে এবং গূহিন্দা ভিটা (Govinda Vita) নামক প্রত্নস্থলের বিপরীতে।
![]() |
মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর |
প্রতিষ্ঠা ও ভূমিকা:
এই জাদুঘর ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, মহাস্থানগড়ের ইতিহাস ও প্রত্নসামগ্রীর সংরক্ষণের প্রয়োজনে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই জাদুঘর দেখাশোনা করে।দর্শন সময়সূচী:
-
গ্রীষ্মকাল (১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বার): মঙ্গলবার থেকে শনিবার, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। দুপুরের খাবার বিরতি ১টা থেকে ১:৩০টা পর্যন্ত।
-
শীতকাল (১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ): মঙ্গলবার থেকে শনিবার, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ভোর বিরতি একইরকম। রবিবার, সোমবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ভিন্ন সময় বা বন্ধ থাকতে পারে।
দর্শনমূল্য ও প্রবেশপথ:
টিকিট ও পার্কিং ফি ইত্যাদি প্রবেশমূল্য নিয়মিত পরিবর্তন হয় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।
জাদুঘরের সংগ্রহ ও প্রদর্শনী:
জাদুঘরে রাখা আছে মহাস্থানগড় ও পার্শ্ববর্তী প্রত্নস্থলগুলো থেকে পাওয়া বহু ধরনের অবশিষ্টাংশ—যেমনঃ
-
শিল্পকলা ও মূর্তিসমূহ: হিন্দু ও বৌদ্ধ দেব-দেবীদের মূর্তি, পাথরের ভাস্কর্য, ব্রোঞ্জ ও ধাতব কাঠামো।
-
টেরাকোটা প্লেকস: দৈনন্দিন জীবন, পশু-পাখি ও ধর্মীয় ধাঁপানো (motifs) দেয়া বিভিন্ন প্লেক, পুরাকীর্তি ও দেবালয়সংক্রান্ত অলঙ্কার।
-
প্রাচীন মুদ্রা ও ধাতুর সামগ্রী: সোনা, রুপা, লোহা, ব্রোঞ্জ প্রভৃতি ধাতুর সামগ্রী; বিভিন্ন যুগের মুদ্রা যা নগর ও ধর্মীয় বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
পোড়ামাটির পাত্র, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র ইত্যাদি।