বৃষ্টি আর খিচুড়ি — এই দুটি যেন একে অপরের পরিপূরক! জানালার পাশে টুপটাপ বৃষ্টি, গরম ভাতের হাঁড়ি থেকে উঠছে ধোঁয়া, আর পাশে খিচুড়ির সুবাস — এ যেন বাঙালির মনের চিরচেনা দৃশ্য। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি খাওয়ার প্রচলন এত বেশি? আসুন জেনে নিই এর কারণ
![]() |
| বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি |
১. সহজ ও তৃপ্তিদায়ক রান্না
বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হওয়া বা বাজার করা কষ্টকর। খিচুড়ি এমন একটি পদ যা ঘরে থাকা সামান্য ডাল, চাল, আলু, ডিম বা সবজি দিয়েই তৈরি করা যায়। সময়ও লাগে কম, পরিশ্রমও কম — তাই ঘরোয়া আরামদায়ক রান্না হিসেবে খিচুড়ির জুড়ি নেই।
২. পুষ্টিকর ও হালকা খাবার
চাল ও ডালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ি প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারে ভরপুর। বৃষ্টির দিনে হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার শরীরকে আরাম দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. বৃষ্টির আবহে উষ্ণতার স্পর্শ
বৃষ্টির ঠান্ডা দিনে গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি শরীরে উষ্ণতা যোগায়। এর সঙ্গে ডিম ভাজা, বেগুনি বা আলুভাজা খেলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। তাই মন ও শরীর – দুটোই প্রশান্তি পায়।
৪. ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা
বাঙালি ঘরে বৃষ্টির দিন মানেই খিচুড়ি! দিদা–নানিরা যেভাবে বৃষ্টির দিনে রান্নাঘরে খিচুড়ির হাঁড়ি চড়াতেন, আজও সেই অভ্যাস টিকে আছে। এটি শুধু খাবার নয়, একধরনের পারিবারিক ঐতিহ্য ও আবেগের অংশ।
৫. মৌসুমি রোগ থেকে সুরক্ষা
বর্ষায় হজমের সমস্যা, ঠান্ডা-কাশি ও ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যায়। খিচুড়ি হজমে সহজ এবং এতে থাকা আদা, হলুদ ও ঘি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উপসংহার
বৃষ্টি মানেই আরাম, আর আরামের সঙ্গী খিচুড়ি!
সহজ, পুষ্টিকর, উষ্ণ ও ঐতিহ্যময় এই খাবার আমাদের মন ও পেট—দু’টোকেই সুখে ভরিয়ে তোলে। তাই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি শুধু খাবার নয়, এটি বাঙালির আরাম ও আনন্দের প্রতীক।
